বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম ও খাওয়ার নিয়ম ও এর দাম কত
প্রত্যেকটি শিশুর জন্য তার মায়ের বুকের দুধ হলো সবচেয়ে উত্তম ও পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত সদ্য জন্মগ্রহণ করা শিশুটি তার মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে না। তাই তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের পাউডার বা গুড়া দুধ খাওয়ানো হয়।
প্রিয় পাঠক আপনি কি আপনার বাচ্চার জন্য বায়োমিল ১ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলটিতে বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম, খাওয়ানোর নিয়ম ও বায়োমিল ১ খাওয়ার বয়স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মূলত যেসব বাচ্চার বয়স শূন্য থেকে ছয় মাস হয় সেসব বাচ্চাদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়ানোর পরামর্শ ডাক্তারেরা দিয়ে থাকে। একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান তার মায়ের দুধের মধ্যে থাকে সেই সকল পুষ্টি উপাদান দ্বারাই বায়োমিল ১ প্রস্তুত করা হয়। বায়োমিল ১ কে নবজাতককে খাওয়ানো হয় মায়ের দুধের বিকল্প খাবার হিসেবে।
আরও পড়ুনঃঃ ল্যাকটোজেন ২ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম ও দাম
বায়োমিল ১ এ থাকা ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ শিশুর শরীরে হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। এটি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে থাকে। বায়োমিল ১ নবজাতকের জন্য খুবই উপকারী ও পরিচিত কোম্পানির দুধ যা প্রায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বাচ্চাকে খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে।
এরপর যে ফিডারটি দিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হবে সেটিকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অপরিষ্কার ফিডার ব্যাবহার করে বাচ্চা দুধ খাওয়ালে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই দুধ প্রস্তুত করার পূর্বে অবশই ফিডারটিকে জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি প্রতিবার গরম পানি দিয়ে ফিডারটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবানুমুক্ত করে নিবেন।
আরও পড়ুনঃঃ বন্ধ নাক খোলার ঘরোয়া উপায়সমূহ
বায়োমিল ১ দুধ বানানোর জন্য আপনার বাচ্চার বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পানি ও পাউডার দুধ মেপে নিন। উদাহরণস্বরুপ, যদি বাচ্চার বয়স এক থেকে দুই সপ্তাহ হয় তাহলে ২/৩ চামচ, বাচ্চার বয়স তিন থেকে চার সপ্তাহ হয় তাহলে ৪ চামচ, বাচ্চার বয়স ২ মাস চলমান থাকলে ৫ চামচ, বাচ্চার বয়স ৩ মাস হলে ৬ চামচ আর যদি বাচ্চার বয়স ৫ থেকে ৬ মাস হয় তাহলে ৭ চামচ বায়োমিল ১ দুধ নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে মেশাতে হবে।
বাচ্চার জন্য বায়োমিল ১ বানানোর সময় অবশ্যই খেয়াল করবেন যেন কোনোরুপ গুড়া গুড়া ভাব না থাকে। অন্যথায় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার গলায় দুধ বেধে যেতে পারে। দুধের গুড়াভাব দূর করতে ভালোভাবে ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে মিশিয়ে নিন।
আরও পড়ুনঃঃ মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
মূলত বায়োমিল ১ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু যখন আপনি বাচ্চাকে সঠিক নিয়ম না মেনে ও অযত্নে বায়োমিল ১ বা অন্যান্য যেকোনো খাবার খাওয়াবেন তখন এর বিভিন্ন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। তাই বায়োমিল ১ সহ সকল প্রকারের ঔষধ কিংবা খাবার বাচ্চাকে সঠিক নিয়ম মেনে ও পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে। তাহলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।
বায়োমিল ১ সহ অন্যান্য সকল দুধ বানানোর নিয়ম-কানুন ও শিশুর বিশেষ যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করুন। আর্টিকেলট সম্পর্কিত কোনো মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
বায়োমিল ১ খাওয়ার বয়স
প্রত্যেক নবজাতকের জন্য সবচেয়ে উপকারী এবং উত্তম খাবার হল তার মায়ের বুকের দুধ. কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত নবজাতকেরা তার মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে না এজন্য ডাক্তারেরা বিভিন্ন ধরনের পাউডার বা গুঁড়া দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সের বাচ্চার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাউডার বা গুঁড়া দুধ যেমন- ল্যাকটোজেন ১, ল্যাকটোজেন ২, ল্যাকটোজেন ৩ ইত্যাদি বিভিন্ন কোম্পানির দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।মূলত যেসব বাচ্চার বয়স শূন্য থেকে ছয় মাস হয় সেসব বাচ্চাদেরকে বায়োমিল ১ খাওয়ানোর পরামর্শ ডাক্তারেরা দিয়ে থাকে। একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যে সকল পুষ্টি উপাদান তার মায়ের দুধের মধ্যে থাকে সেই সকল পুষ্টি উপাদান দ্বারাই বায়োমিল ১ প্রস্তুত করা হয়। বায়োমিল ১ কে নবজাতককে খাওয়ানো হয় মায়ের দুধের বিকল্প খাবার হিসেবে।
আরও পড়ুনঃঃ ল্যাকটোজেন ২ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম ও দাম
বায়োমিল ১ এ থাকা ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম ও খনিজ পদার্থ শিশুর শরীরে হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। এটি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে থাকে। বায়োমিল ১ নবজাতকের জন্য খুবই উপকারী ও পরিচিত কোম্পানির দুধ যা প্রায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বাচ্চাকে খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে।
বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম
শূন্য থেকে ৬ মাস বয়সী বাচ্চাকে বায়োমিল ১ খাওয়ানো হয়। জন্মের পর যখন কোন শিশু তার মায়ের দুধ খেতে পারে না তখন তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ সকল দুধ খাওয়ানো হয়। তাহলে চলুন বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।- যে সকল বাচ্চার বয়স এক থেকে দুই সপ্তাহ তাদেরকে প্রতিদিন ৬ বার কুসুম গরম পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ বায়োমিল ১ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এই বয়সী বাচ্চাকে এই পরিমাণের বেশি কখনোই খাওয়াতে যাবেন না। অন্যথায় বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।
- যখন বাচ্চার বয়স আরেকটু বেশি হবে অর্থাৎ বাচ্চার যখন ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ হবে তখন তাকে প্রতিদিন ৫ বার করে চার চামচ বায়োমিল ১ কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে পান করাতে হবে।
আরও পড়ুনঃঃ ল্যাকটোজেন ১ খাওয়ার বয়স ও বানানোর নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - আপনার বাচ্চার বয়স যখন ২ মাস চলমান থাকবে তখন তাকে প্রতিদিন ৫ চামচ বায়োমিল ১ কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে ৫বার করে খাওয়াবেন।
- বাচ্চার বয়স ৩ মাস হলে বায়োমিল ১ এর পরিমাণ আরো এক চামচ বাড়িয়ে ৬ চামচ করে সারা দিনে ৫ বার খাওয়াতে হবে। মনে রাখবেন কখনোই পরিমাণের বেশি দুধ আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
- আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৫ থেকে ৬ মাস হবে তখন তাকে ৬ চামচ বায়োমিল ১ এর পরিবর্তে আরো এক চামচ বাড়িয়ে সর্বমোট ৭ চামচ বায়োমিল ১ পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ৫ বার করে খাওয়াবেন।
আরও পড়ুনঃঃ বায়োমিল ২ খাওয়ার নিয়ম ও বানানোর নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বায়োমিল ১ বানানোর নিয়ম
বায়োমিল ১ দুধটি প্রস্তুত করার জন্য প্রথমেই পরিমাণ মতো পানি গরম করে নিতে হবে। এরপর পানিকে বাচ্চার খাওয়ার উপযোগী করে নিতে হবে অর্থাৎ বাচ্চা খেতে পারে সেরকম ঠান্ডা করে নিতে হবে। বায়োমিল ১ দুধটি তৈরি করার জন্য যে পানি ব্যাবহার করবেন তা যেন খুব বেশী গরম না হয়। কারণ পানি বেশী গরম হলে বাচ্চার মুখ পুড়ে যেতে পারে।এরপর যে ফিডারটি দিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হবে সেটিকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অপরিষ্কার ফিডার ব্যাবহার করে বাচ্চা দুধ খাওয়ালে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই দুধ প্রস্তুত করার পূর্বে অবশই ফিডারটিকে জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে। এর জন্য আপনি প্রতিবার গরম পানি দিয়ে ফিডারটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবানুমুক্ত করে নিবেন।
আরও পড়ুনঃঃ বন্ধ নাক খোলার ঘরোয়া উপায়সমূহ
বায়োমিল ১ দুধ বানানোর জন্য আপনার বাচ্চার বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পানি ও পাউডার দুধ মেপে নিন। উদাহরণস্বরুপ, যদি বাচ্চার বয়স এক থেকে দুই সপ্তাহ হয় তাহলে ২/৩ চামচ, বাচ্চার বয়স তিন থেকে চার সপ্তাহ হয় তাহলে ৪ চামচ, বাচ্চার বয়স ২ মাস চলমান থাকলে ৫ চামচ, বাচ্চার বয়স ৩ মাস হলে ৬ চামচ আর যদি বাচ্চার বয়স ৫ থেকে ৬ মাস হয় তাহলে ৭ চামচ বায়োমিল ১ দুধ নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে মেশাতে হবে।
বাচ্চার জন্য বায়োমিল ১ বানানোর সময় অবশ্যই খেয়াল করবেন যেন কোনোরুপ গুড়া গুড়া ভাব না থাকে। অন্যথায় বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় বাচ্চার গলায় দুধ বেধে যেতে পারে। দুধের গুড়াভাব দূর করতে ভালোভাবে ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে মিশিয়ে নিন।
বায়োমিল ১ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যেহেতু শূণ্য থেকে ছয় মাস বয়সী নবজাতককে বায়োমিল ১ খাওয়ানো হয়। তাই নবজাতককে বায়োমিল ১ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ শূণ্য থেকে ছয় মাস বয়সের নবজাতকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দূর্বল হয়ে থাকে যার ফলে তারা খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। খুলনায় বায়োমিল ১ খাওয়ার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।আরও পড়ুনঃঃ মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
মূলত বায়োমিল ১ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু যখন আপনি বাচ্চাকে সঠিক নিয়ম না মেনে ও অযত্নে বায়োমিল ১ বা অন্যান্য যেকোনো খাবার খাওয়াবেন তখন এর বিভিন্ন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। তাই বায়োমিল ১ সহ সকল প্রকারের ঔষধ কিংবা খাবার বাচ্চাকে সঠিক নিয়ম মেনে ও পরিমাণমতো খাওয়াতে হবে। তাহলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।
বায়োমিল ১ দাম কত
বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই বায়োমিল ১ পাওয়া যায়। নিম্নোক্ত চার ধরণের পরিমাণে বাংলাদেশে পাওয়া যায়।- ১৮০ গ্রাম এর প্যাকেটের দুধের দাম ২২৫ টাকা।
- ৩৫০ গ্রাম এর প্যাকেটের দুধের দাম ৪৫০ টাকা।
- ৫০০ গ্রাম এর প্যাকেটের দুধের দাম ৮২০ টাকা।
- ১০০০ গ্রাম অর্থাৎ ১ কেজির প্যাকেটের দাম ১৬৩০ থেকে ১৬৫০ টাকা।
লেখকের মন্তব্য
সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতকের প্রতি আমাদের একটু বেশীই যত্নবান হতে হবে। সবসময় তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দূর্বল হওয়ার ফলে এরা অতি দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বায়োমিল ১ খাওয়ার নিয়ম, বানানোর নিয়ম এবং সেইসাথে বায়োমিল ১ এর বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।বায়োমিল ১ সহ অন্যান্য সকল দুধ বানানোর নিয়ম-কানুন ও শিশুর বিশেষ যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করুন। আর্টিকেলট সম্পর্কিত কোনো মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url