ল্যাকটোজেন ৩ বানানোর এবং খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যখন কোন শিশু তার মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে না তখন তাকে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প হিসেবে বাজার থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পাউডার বা কৌটা দুধ খাওয়ানো হয়। সেরকমই একটা দুধ হলো ল্যাকটোজেন ৩।
ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম ও দাম
প্রিয় পাঠক আপনি কি ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ার এবং বাড়ানোর নিয়ম ও দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলে ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ার এবং বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করা হলো।

ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ার বয়স

একটি শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন তার খাবার ও পুষ্টি উপাদানের চাহিদা বাড়তে থাকে। তাই শিশুর এই খাবার ও পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য শিশুকে একটি নির্দিষ্ট বয়সে এসে ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ানো হয়। ল্যাকটোজেন ৩ এ রয়েছে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিনারেল ও ক্যালসিয়াম। যা শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

শূন্য থেকে ৬ মাস বয়সের শিশুকে ল্যাকটোজেন ১, ৬ থেকে ১ বছর বয়সের শিশুকে ল্যাকটোজেন ২ এবং শিশুর বয়স যখন ১ থেকে ৩ বছর বয়স হবে তখন তাকে ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়াতে হবে। ১ থেকে ৩ বছর বয়সের একটি শিশুর শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন তার সবগুলোই এই ল্যাকটোজেন ৩ রয়েছে।

ল্যাকটোজেন ৩ বাচ্চার ক্ষুধা নিবারণের সহায়তা করে থাকে। যখন কোন বাচ্চা তার মায়ের দুধ খেতে পারে না তখন তাকে এই দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুর স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য যে সব পুষ্টি উপাদান মায়ের বুকের দুধে থাকে সেসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ দুধ এটি।

ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ার নিয়ম

শিশুর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার খাবারের চাহিদা ও তাকে খাওয়ানোর নিয়ম ও পরিবর্তন হয়। অন্য থেকে ছয় মাস বয়সের একটি শিশুর যে পরিমাণ খাবারের প্রয়োজন সেই পরিমাণ খাবার দিয়ে একটি ছয় থেকে এক বছর বয়সের বাচ্চার ক্ষুদা নিবারণ ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়.
তেমনি করে একটি শিশুর বয়স যখন ১ থেকে ৩ বছর হয় তখন তাকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন নিয়মে খাবার বা দুধ খাওয়াতে হবে। যেসব শিশুর বয়স ১ থেকে ৩ বছর হয়েছে তাদের জন্য ল্যাকটোজেন ৩ দুধ খাওয়ানো হয়।

আপনার শিশুকে ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই প্রথমে একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। ডাক্তার যে পরিমাণ ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ানোর কথা বলবে ঠিক সেই পরিমাণই খাওয়াতে হবে অন্যথায় শিশুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুকে ল্যাকটোজেন ৩ খাওয়ানোর জন্য প্যাকেটের ভিতরে যে চামচ সরবরাহ করা থাকে সেই চামচটি ব্যবহার করবেন।
মনে রাখবেন বাচ্চাকে খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে অত্যন্ত যত্নের সহিত খাওয়াতে হবে। জোরপূর্বক শিশুকে খাওয়ানোর চেষ্টা কখনোই করবেন না। আর কখনোই বাচ্চাকে পরিমাণের অতিরিক্ত ল্যাকটোজেন ৩ দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।

ল্যাকটোজেন ৩ দাম কত

বাজারে প্যাকেট ও কৌটা এই দুই ভাবে ল্যাকটোজেন ৩ পাওয়া যায়। নিচে ল্যাকটোজেন ৩ এর পরিমাণ ও এর দাম উল্লেখ করা হলোঃ
  • ৩৫০ গ্রাম ল্যাকটোজেন ৩ এর দাম ৬৭০ টাকা।
  • 400 গ্রাম ল্যাকটোজেন ৩ এর দাম ৬২০ টাকা।

শিশুর জন্য যেকোনো ধরনের ঔষধ, দুধ কিংবা যেকোনো ধরনের পণ্য ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই পণ্যের গায়ে লেখা এর উৎপাদনের তারিখ ও এর মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ অবশ্যই দেখে নিবেন। কারণ মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন ঔষধ বা দুধ খাওয়ানোর ফলে আপনার শিশুর শরীরে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে এমনকি আপনার শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

প্রত্যেকটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল হয়ে থাকে। এজন্য আপনার শিশুর প্রতি একটু বেশি মনোযোগী ও যত্নশীল হতে হবে। তা না হলে আপনার শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সবদিক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটিতে আমি ল্যাকটোজেন ৩ বানানোর নিয়ম ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিত ব্যাক্তিদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও ল্যাকটোজেন ৩ বানানো ও খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন বা কোনো মতামত জানানোর জন্য নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url