পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা - পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক

পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা - পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক

বিভিন্ন সরবত কিংবা খাবারের স্বাদ/শোভা বর্ধনের জন্য পুদিনা পাতার ব্যাবহার আমরা সকলেই করে থাকি। কারণ পুদিনা পাতার রয়েছে বিশেষ গুনাগুন। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা পুদিনা পাতা চিনি না। কোন কোন কাজে আমরা পুদিনা পাতা ব্যাবহার করতে পারি সে সম্পর্কেও আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই।
পুদিনা পাতার উপকারীতা - পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটিতে পুদিনা পাতা চেনার উপায় এর সাথে পুদিনা পাতায় কি কি উপাদান থাকে প্রতিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই পুদিনা পাতার সম্পর্কে এসব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পুদিনা পাতা চেনার উপায়

পূর্বের তুলনায় বর্তমানে পুদিনা পাতার ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। যার ফলে বর্তমানে সকল কাঁচা বাজারে পুদিনা পাতা বিক্রি করা হয়। যদিওবা এভাবে পুদিনা পাতার সঠিক পরিচয় দেওয়া সম্ভব হবে না। পুদিনা পাতা চেনার উপায় জানতে হলে নিচে দেওয়া ছবিটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
পুদিনা পাতা চেনার উপায়
উপরোক্ত ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে পুদিনা পাতা একটি উদ্ভিদ জাতীয় গাছ। যার ফলে এটি আকারে অনেক ছোট হয়ে থাকে। এর রং সবুজ হয়। পুদিনা পাতার কান্ড বা ডাল অত্যন্ত সরু বা চিকন হয়ে থাকে। পুদিনা পাতা অনেকটা লতার মত হয়ে থাকে। তাছাড়া পুদিনা পাতা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হল এর গন্ধ। পুদিনা পাতার রয়েছে এক বিশেষ গন্ধ মূলত এটি দ্বারাই পুদিনা পাতাকে খুব সহজ ভাবে শনাক্ত করা যায়।

পুদিনা পাতায় কি কি উপাদান থাকে

সুগন্ধির জন্য আমরা অনেকেই পুদিনা পাতার ব্যাবহার করে থাকি। তবে পুদিনা পাতা যে রান্নায় সুগন্ধির জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে এরকমটা নয়। এই পাতার রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুণ। তাই পুদিনা পাতা রান্নায় সুগন্ধি আনার পাশাপাশি এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধও করে থাকে। নিচে পুদিনা পাতায় থাকা বিভিন্ন উপাদান সমূহ উল্লেখ করা হলো-
  • ভিটামিন-এ
  • ভিটামিন-সি
  • ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স
  • লৌহ
  • পটাশিয়াম
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
  • মেন্থল
  • ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট
  • স্যালিসাইলিক অ্যাসিড

পুদিনা পাতা দিয়ে চা খাওয়ার উপকারিতা

পুদিনা পাতা আমরা বিভিন্নভাবে ব্যাবহার করতে পারি। পুদিনা পাতার বিশেষ গুণাগুণ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরণের রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে বাঁচায়। তাই আমাদের শরীরের বিভিন্ন ছোটো-বড় রোগ প্রতিরোধের জন্য পুদিনা পাতা বিশেষ কার্যকরী একটি জিনিস।
পুদিনা পাতা দিয়ে চা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে অনেকে বলেছেন যে, পুদিনা পাতার গন্ধতেই অনেকের অনেক রোগ সেরে যায়। পুদিনা পাতা চা এর সাথেও খাওয়া যায়। পুদিনা পাতা ব্যাবহার করে চা খাওয়ার রয়েছে বিশেষ গুণ। ঠান্ডায় যাদের গলার ভেতরটায় খুসখুসে কাশি হচ্ছে তাদের জন্য এই পুদিনা পাতার চা রীতিমতো ম্যাজিকের মতো কাজ করে থাকে।

পুদিনা পাতায় থাকা পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ ও আইরন আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক গবেষণায় জানা গেছে, পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিটিউমার, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জেনিক এর মতো উপাদান আছে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকরী উপাদান।

প্রতিদিন এক কাপ করে পুদিনা পাতার চা খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন কঠিন রোগ যেমন- ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন এক কাপ করে পুদিনা পাতার চা খাওয়ার ফলে আপনি পেতে পারেন ক্যন্সারের মতো মরণব্যাধী রোগ থেকে মুক্তি।

প্রতিদিনের ব্যাস্তময় জীবনের কাজের চাপ থেকে আমাদের মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ও দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলোকে সুন্দর ভাবে করতে বিঘ্ন ঘটায়। তাই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতার চা বেশ কার্যকরী একটি পানীয়। পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থল আমাদের মস্তিষ্ককে রিফ্রেস করতে সাহায্য করে থাকে।
পুদিনা পাতার চা খাওয়ার ফলে পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুন আমাদের মুখে থাকা বিভিন্ন ধরণের জীবানু ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে। বিশেষ করে যারা তাদের মুখের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত তাদের চিন্তার অবসান ঘটাতে পারে পুদিনা পাতার চা।

পুদিনা পাতায় থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে থাকে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা নিয়মিত পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। পুদিনা পাতার চা আমাদের শরীরের পেশীকে শিথিল করে দেয়। যাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা আছে তার এই পুদিনা পাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন।

পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা

পূর্বের তুলনায় বর্তমানে পুদিনা পাতার ব্যাবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রান্নায় সুগন্ধ বৃদ্ধির পাশাপাশি পুদিনা পাতার রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুনাগুন। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ছোট-বড় রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। পুদিনা পাতায় রয়েছে বিভিন্ন রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান।

পুদিনা পাতা যে শুধুমাত্র রান্নায় সুগন্ধি হিসেবেই ব্যাবহৃত হয়ে থাকে এমনটা না। এই পাতার রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুণাগুণ। গবেষকরা প্রতিনিয়ত এই পুদিনা পাতা নিয়ে তাদের গবেষণা করেই চলছেন ও এর অনন্য সব গুণাগুন আবিষ্কার করছেন। নিচে পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো-
  • অনেক গবেষক মনে করেন পুদিনা পাতা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। পুদিনা পাতায় থাকা পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস উপাদান আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

    আরও পড়ুনঃঃ ভেষজ পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়সমুহ

  • বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ যেমন- সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা ইত্যাদি সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান দিতে পারে পুদিনা পাতা।

  • যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের মতো জটিল ও মরণব্যাধী সমস্যা আছে তাদের জন্য পুদিনা পাতার রস খাওয়া বেশ কার্যকরী সমাধান হতে পারে। পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থল মুহুর্তের মধ্যে এর ফল দেখাতে শুরু করে দেয়।

  • পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে আপনার শুষ্ক কাশি থেকে নিরাময় পেতে পারেন।

  • সর্দিতে বন্ধ নাক খুলতে আপনি পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে এর ভাপ নিতে পারেন। এতে করে পুদিনা পাতায় থাকা মেন্থলের গুণ আপনার বন্ধ না খুলতে মুহুর্তের মধ্যেই তার কাজ শুরু করে দেয়।

  • পেটের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধানে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আমাদের পেটের হজমের সমস্যা সহ পেটের ব্যাথা নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।

  • পুদিনা পাতা ব্যাবহার করে চা পান করলে শরীর ও মন সতেজ থাকে।

  • পুদিনা পাতার রয়েছে এক অনন্য গন্ধ। যা আমাদের স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে থাকে।
  • পুদিনা পাতায় থাকা অ্যাপোপটোজেনিক এক্টিভিটিজ আমাদের রক্তের কার্টিসেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।

  • পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস করার ফলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সমাধান হবে।

  • বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

  • পুদিনা পাতা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পুদিনা পাতার ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ আমাদের শরীরের হজম ক্রিয়া ও শরীরের বর্জ অপসারণ প্রক্রিয়াকে সচল রেখে শরীরের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে।

  • পুদিনা পাতার রস অথবা এর শেকড় আমাশয়ের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে থাকে।

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক | পুদিনা পাতার অপকারিতা

বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণের কারণে পুদিনা পাতা বেশ পরিচিত। এই পাতা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটা ভেষজ। তবে আমরা জানি যে প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা ভালো দিক ও একটি মন্দ দিক থাকে। অর্থাৎ মানব শরীরের জন্য এত উপকারী একটা জিনিসেরও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক হলো এটি অন্যান্য ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে বিভিন্ন ধরণের অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে। পুদিনা পাতা নিয়মিত খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়। পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুদিনা পাতা দিয়ে চা পান করার ফলে আমাদের শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। পুদিনা পাতার সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক হলো এটি আমাদের যৌন জীবনকে অনেকটা প্রভাবিত করে থাকে। পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয় এবং আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে দেয়। যার ফলে আমাদের যৌন আগ্রহ অনেকটা কমে যায়। তাই শুধুমাত্র সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা ব্যাবহার করে থাকলে তা বর্জন করে আদা ব্যাবহার করুন।

পুদিনা পাতা বেশী খেলে কি হবে

আর্টিকেলের উপরের অংশে পুদিনা পাতার বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা জানি যে প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা ভালো দিক ও একটা মন্দ দিক রয়েছে। তেমনি করে পুদিনা পাতারও কিছু মন্দ দিক রয়েছে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন উদয় হয়েছে যে, পুদিনা পাতা বেশী খেলে কি হবে? তাহলে চলুন এবার এই প্রশ্নের উত্তরটা জেনে নেওয়া যাক।

যেকোনো জিনিসই প্রয়োজনের তুলনায় বেশী হয়ে গেলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ পুদিনা পাতার উপকারীতার পাশাপাশি অপকারীতাও আছে, সেইসাথে এটা যদি পরিমানের তুলনায় বেশী খাওয়া হয় তাহলে এর বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
পুদিনা পাতা বেশী পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেট ব্যাথা, মুখের ভেতরটা শুকিয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া সহ আরও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুদিনা পাতা বেশী পরিমাণে খাওয়ার ফলে এটি আমাদের যৌন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার পর হয়তো আপনি বুঝতেই পারছেন যে দৈনন্দিন জীবনে পুদিনা পাতা আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। এটি ব্যাবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরণের রেসিপি বানিয়ে খেতে পারি। পুদিনা পাতার উপকারী দিকের পাশাপাশি এর কিছু অপকারী দিকও আছে। তাই সঠিক নিয়মে পরিমাণ মতো পুদিনা পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আর্টিকেলটি আপনার পরিচিত মানুষের কাছে শেয়ের করে তাদেরকেও পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা পুদিনা পাতার বিভিন্ন উপাদান ও পুদিনা পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url