ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ - নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়
নারী ও পুরুষ উভয়েরই সম্বিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের সমাজ গঠিত। কিন্তু তারপরেও এখনও আমাদের সমাজে কন্যা সন্তানের তুলনায় পুত্র সন্তানের প্রাধান্য অনেক বেশী। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রত্যেক বিবাহিত দম্পতিই চায় যে তাদের পুত্র সন্তান হোক।
আরও পড়ুনঃ ছোট পরিসরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা
প্রিয় পাঠক, আপনিও নিশ্চয়ই চান যে আপনাদের একটা ছেলে সন্তান হোক। এই আর্টিকেলটিতে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেইসাথে আর্টিকেলটিতে ছেলে সন্তান কত মাসে হয়, স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয়, নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ছেলে সন্তান কত মাসে হয় - ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়
গর্ভের সন্তানকে ঘিরে নানান প্রশ্নের উদয় হয় আমাদের মনে। বিশেষ করে গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সেইটা নিয়েই বেশী কৌতুহলে সৃষ্টি হয়। সেই থেকেই আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে যে ছেলে সন্তান কত মাসে হয় বা ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়।
প্রিয় পাঠক, আপনার মনেও নিশ্চয়ই ছেলে সন্তান কত মাসে বা কত সপ্তাহে হয় এই প্রশ্নের উদয় হয়েছে। মূলত ছেলে কিংবা মেয়ে সন্তান হওয়ার আলাদা কোনো সময় থাকে না। অর্থাৎ আপনি যদি মনে করে থাকেন যে ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান হওয়ার আলাদা আলাদা সময় হয়ে থাকে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন।
যখন কোনো নারী গর্ভবতী হয় তখন তার গর্ভের সন্তানটি ছেলে হোক কিংবা মেয়ে তার স্বাভাবিকভাবে শারীরিক গঠন সম্পূর্ণ হতে ৩৭ সপ্তাহ সময় লেগে থাকে। গর্ভের বাচ্চার শারীরিক গঠণ সম্পূর্ণ হওয়ার পর গর্ভবতী নারীর প্রসব ব্যাথার উপর নির্ভর করে বাচ্চার ডেলিভারি সম্পন্ন করা হয়। তাই কত মাসে বা সপ্তাহে ছেলে সন্তাহ হয় তা বলা অসম্ভব।
নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়
একজন নারীর গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানকে নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থাকে। আর সেইসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য বিভিন্ন ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। বিশেষ করে গর্ভের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে তা জানার জন্য গর্ভবতী মা সহ সকলেই বেশ উৎসুক হয়ে থাকে।
আমরা অনেকেই আছি যারা নাভি দেখে গর্ভের সন্তান এর লিঙ্গ বোঝার চেষ্টা করে থাকি। নাভির আকার-আকৃতি, অবস্থান কিংবা রং দেখে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের ধারণাটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ এই পদ্ধতির শতভাগ বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। পূর্বে আমাদের দাদি-নানিরা গর্ভবতী মায়েদেরকে নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় সম্পর্কে শিখিয়ে দিতেন। যদিও এই ধারণাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
সেই সময় এমনটা ধারণ করা হতো যে, ৭ থেকে ৯ মাস চলাকালীন যদি নাভি বাইরের দিকে ফুলে বের হয়ে আসে তাহলে ধারণ করা হতো যে গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে। আর যদি নাভি ভেতরের দিকে ঢুকে যায় তাহলে ধারণা করা হয় যে গর্ভের সন্তানটি মেয়ে হবে।
স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয়
সাধারণত যেসকল দম্পতি প্রথমবারের মতো মা-বাবা হতে চলেছেন তাদের মনের ভেতরে গর্ভে বেড়ে উঠা সন্তানকে নিয়ে নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়। তাদের কথোপকথনের বিশেষ একটি প্রশ্ন হলো যে তারা ছেলে নাকি মেয়ে সন্তানের পিতা-মাতা হতে চলেছে।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি আবিষ্কারের পূর্বে গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন লক্ষণ, শারীরিক পরিবর্তন ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানটির লিঙ্গ বোঝার বা জানার চেষ্টা করতো। যদিওবা এসব ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছিলো না। তদ্রুপ গর্ভবতী হবু মা তার স্বপ্নে কি দেখেছে তার মাধ্যমেও গর্ভের বাচ্চার লিঙ্গ বিচার করা হতো।
সেই সময়ে মনে করা হতো যে যদি গর্ভবতী মা তার স্বপ্নে সূর্য দেখে তাহলে ছেলে সন্তান হবে আর যদি সে স্বপ্নে চাঁদ দেখে তাহলে মেয়ে সন্তান হবে। আবার গর্ভবতী মা যদি তার স্বপ্নে চিতল মাছের ডিম, শিং মাছ, সাপ, হাড়গিলা, কবুতর, পেয়ারা ইত্যাদি দেখে তাহলে এগুলোকে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ মনে করা হতো।
স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয় মেয়ে সন্তান হয় এই ধারণার একটি মজার বিষয় হলো যে স্বপ্নে যদি ছেলে সন্তানের প্রসব হওয়া দেখতে পাওয়া যায় তাহলে মেয়ে সন্তান জন্মাবে আর যদি মেয়ে সন্তান প্রসব হওয়া দেখতে পাওয়া যায় তাহলে ছে সন্তান জন্মাবে।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
পরিবারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হবে এইটা প্রায় সকল পিতা-মাতারই ইচ্ছা। তাই গর্ভধারণ করার পর থেকেই সকল পিতা-মাতাই গর্ভের সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এইটা নিয়ে উৎসুক থাকে। কৌতুহলবশত অনেক দম্পতিই অনলাইনে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানতে সার্চ দিয়ে থাকেন। গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তা গর্ভবতী মায়ের লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে জানা অসম্ভব। তবে বিভিন্ন লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে হবে তার একটি ধারণা করা হয় মাত্র।
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলের উপরিভাগে ছেলে সন্তান কত মাসে হয় - ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়, নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় ও স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয় এগুলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলের এই অংশে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে চলুন ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. মর্নিং সিকনেসঃ ধারণা করা হয় যে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর যদি বেশী অলসতা কাজ করে বা বমি বমি ভাব হয় তাহলে কন্যা সন্তান হয় আর যদি এরকম কোনো অস্বাভাবিক অবস্তাহ না হয়ে তাহলে ছেলে সন্তান হবে।
২. চুলের অবস্থাঃ গর্ভাবস্থায় যদি আপনার চুল অনেক পাতলা ও উজ্জ্বলতাহীন হয়ে পড়ে অর্থাৎ যদি চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনার মেয়ে সন্তান জন্ম হবে। আর যদি আপনার চুলের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনি একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।
আরও পড়ুনঃঃ স্টুডেন্ট অবস্থাফ্রিল্যান্সিং য় আয়ের উপায়
আরও পড়ুনঃঃ স্টুডেন্ট অবস্থাফ্রিল্যান্সিং য় আয়ের উপায়
৩. খাবারের রুচিঃ গর্ভাবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার আগ্রহ দেখা দেওয়ার অর্থ মেয়ে সন্তান হওয়ার প্রবনতা। আর যদি মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি অনিহা দেখা দেয় তাহলে তা ছেলে সন্তান জন্ম হওয়ার লক্ষণ।
৪. ত্বকের অবস্থাঃ ধারণা করা হয় যে গর্ভের সন্তানটি যদি মেয়ে হয়ে তাহলে গর্ভবতী মায়ের ত্বকে র্যাশ, ব্রণ ইত্যাদি দেখা দেয়। গর্ভের সন্তানটি ছেলে হলে এসব সমস্যা দেখা দেয় না।
৫. পেটের আকার-আকৃতিঃ গর্ভাবস্থায় পেটের উপরের দিকটা উচু হলে মেয়ে সন্তান হবে বলে ধারণা করা হয়। আর যদি নিচের দিকে হয় তাহলে ছেলে সন্তান জন্মাবে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
উপরে যেসকল লক্ষণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। পূর্বে পরিবারে দাদি-নানিরা গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন লক্ষণ দেখে তার গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে তার একটি ধারণা করতো।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, গর্ভের সন্তানটি ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সে যে আপনাদের সন্তান এটাই তার সবচেয়ে বড় পরিচয়। একটা কথা মনে রাখবেন পৃথিবীতে অনেক দম্পতি আছেন যারা নিঃসন্তান। একটাবার ভেবে দেখুন যে তার কতটা কষ্টের মধ্যে আছে। তাই ছেলে বা মেয়ে যেটাই হোক না কেনো তাকে সুশিক্ষা দিয়ে বড় করে তুলতে হবে।
আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগেছে। শিশু জন্ম নেওয়ার পর শিশুর যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসুন। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা মতামত জানতে বা জানাতে নিচে কমেন্ট করুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url