৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত যে কত তা বলে শেষ করা যাবে না। ইসলামে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক। এটি এমন একটি ইবাদত মহান আল্লাহ তালার কাছে যা চাওয়া যায় তিনি তার উত্তম প্রতিদান দিয়ে থাকেন। কারণ আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।
তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাহাজ্জুদের নামাজ আমরা শেষ রাত্রে পড়ে থাকি। ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ একটানা পড়লে একে তো অনেক নেকি পাওয়া যায় এবং আমরা যা চেয়ে থাকি ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তালা আমাদের তার চাইতে অধিক কিছু দিয়ে থাকেন। এই জন্য আমাদের আল্লাহ তালার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে।
৪০ দিন একটানা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে একজন মুমিনের ঈমান আরো অটল হয় । এছাড়াও আল্লাহ তালার রহমত বরকত পাওয়া যায়। আল্লাহ তালা বান্দার মনের সকল নেক ইচ্ছা আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দেই। এজন্য আমাদের সকলের বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উচিত।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল
তাহাজ্জুদ নামাজকে নফল ইবাদত হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত হলেও ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি এই নামাজ পড়তেন। যদিও এটি ফরজ নামাজ নয় তবুও তিনি আল্লাহতালার শুকরিয়া আদায় করার জন্য বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ইবাদত হলেও এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অনেক কাছাকাছি যাওয়া যায়, মনের প্রশান্তি এবং গুনাহ মাফ করা যায়। তাহাজ্জুদ নামাজের এত বেশি ফজলত যে তা বলে শেষ করা যাবে না। এইজন্য আমাদের সকল মুসলমানদের উচিত এর প্রতি যত্নশীল হওয়া।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সময়
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের একটি ইবাদত যা আমরা গভীর রাত্রে নামাজ পড়ে থাকি। এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তালার নৈকট্য লাভ করা যায়। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও সময় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মঃ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করতেন। যে কোন সূরা দিয়ে আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে আমাদের নবী তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার সময় লম্বা সময় ধরে নামাজ আদায় করতেন। দুই রাকাত দুই রাকাত করে আর রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়ঃ এশার নামাজের পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে গভীর রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। আপনি যদি মনকে পবিত্র করে ,শরীরকে পবিত্র করে আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চেয়ে নেক দোয়া করে থাকেন অর্থাৎ আপনার দোয়াতে কারো কোন ক্ষতি হবে না তবে ইনশাল্লাহ আপনার তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া অবশ্যই কবুল হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
যেমন আপনি যদি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তবে একটানা একত্রে ৪০ দিন তাহাজ্জুদ এর নামাজ আদায় করে দেখুন। দেখবেন ইনশাআল্লাহ আপনার সকল মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। এই জন্য আমাদের সকলকে তাহাজ্জুদ নামাজের উপর যত্নশীল হওয়া উচিত।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি অন্ধকারে পড়তে হয়
তাহাজ্জুদের নামাজ কি অন্ধকারে পড়তে হয় এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহাজ্জুদ নামাজ অন্ধকার কিংবা আলো আপনি দুটোতেই পড়তে পারবেন। তবে অন্ধকারে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে নামাজের মধ্যে একাকী অনুভব করা যায় এবং সম্পূর্ণ ধ্যান-ধারণা আল্লাহ তালার দিকে থাকে।
আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ তাআলার কাছাকাছি যাওয়া।আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি অন্ধকারে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। অন্ধকারে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে এর কিছু বিশেষ দিক রয়েছে। যেমন, অন্ধকারে ইবাদতের সময় খুব সহজেই আমরা নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারি। ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি কারন ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক।
শেষ কথাঃ ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের ইসলামে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে কোন কিছু চাওয়া কিংবা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে থাকি। কেননা আমরা জানি তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার খুব কাছাকাছি যেতে পারি।
তিনি আমাদের সকল দোয়া কবুল করে থাকেন। এই নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তালার কাছ থেকে রহমত বরকত পেয়ে থাকি। যিনি সমস্ত জাহানের মালিক। তিনি চাইলে সবকিছু করতে পারেন। অসম্ভব বলে কোন কিছু নেই। এই জন্য আমরা আল্লাহ তালার সব সময় শুকরিয়া আদায় করবো। তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url