ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমদের অনেক এর অজানা। ওজন কমাতে আমরা অনেকেই তেঁতুল খেয়ে থাকি। তেতুল আমাদের সকল কাছে চেনা একটি ফল। তেঁতুল খেলে এটা প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের শরীরের ওজন কমিয়ে থাকে।
তেতুলে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পরিমাণ মত তেঁতুল খেলে আমাদের শরীরের মেদ ও ভুড়ি কমাতে সাহায্য করবে।তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া হলঃ
- খালি পেটে তেঁতুলঃ প্রতিদিন খালি পেটে তেঁতুল খেলে এটি ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রাতে পরিমাণ মতো পাকা তেতুল ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে সেটি রস বানিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে করে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
- তেঁতুল পানি তৈরিঃ তেঁতুলের পানি তৈরি করার জন্য প্রথমে তেঁতুলটি ভিজিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ভিজে নরম হয়ে গেলে সে তেঁতুল ভালো ভাবে সেই পানির সাথে রস বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে হালকা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ভূমিকা
ওজন কমাতে যেসব খাবার ভূমিকা রাখে সেসব খাবার নিয়ে আজকের আলোচনা। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেলে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। যেমন তেতুল, কালোজিরা,শশা, রসুন ইত্যাদি এসব খাবার খেলে প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আজকের আর্টিকেল। যেমন ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে টকদই খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম, কি কি খেলে ওজন কমে, মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়।
ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ। তাই ওজন কমাতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণ মত কারোজিরা খেলে এটি প্রাকৃতিক ভাবেই আপনার শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করবে। শুধু যে শরীরের ওজন কমাবে ব্যাপারটা ঠিক এমন নয়, এটি শরীরের আরো বিভিন্ন কাজে আসে। নিচে কালোজিরা খাওয়ার কিছু নিয়ম দেয়া হলোঃ
- কালোজিরা ও মধুঃ কালোজিরা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে আপনি চাইলে খেতে পারেন। কালোজিরা ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায় । অথবা মধু ও কালোজিরা একসাথে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন অল্প অল্প পরিমাণ খেতে পারেন।
- কালোজিরার তেলঃ ওজন কমাতে আপনি চাইলে গোটা কালোজিরার পরিবর্তে কালোজিরার তেল খেতে পারেন। হাফ চা চামচ কিংবা অল্প পরিমাণে পানির সাথে কিংবা সরাসরি খেতে পারেন। প্রতিদিন নিয়মিত কালোজিরা তেল খেলে শরীরের ওজন কমানো সহ একটি শরীরের বিভিন্ন উপকারে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে রসুন খাওয়ার নিয়ম
রসুন আমাদের বিভিন্ন রান্নার সাথে কাজে ব্যবহার করে থাকি। রসুন ওজন কমার পাশাপাশি চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। রসুন শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে রসুন খেলে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। সকালে রসুনের কয়েকটি কুয়া খালি পেটে চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি, ও ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণে আনে পাশাপাশি চেহারার উজ্জ্বলতা ও বৃদ্ধি করে। ওজন কমাতে রসুন খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
রসুন চাঃ রসুনের চা বানিয়ে আমরা খেতে পারি । চায়ের সাথে আদা রসুন একটুকু দিয়ে স্পেশাল চা তৈরি করে নিতে পারি। যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার আসবে।
রান্নায় কাজে রসুনের ব্যবহারঃ আমরা আমাদের প্রতিদিনের রান্না সাথে মশলা হিসেবে রসুন ব্যবহার করে থাকে। মাংস থেকে শুরু করে, শাক, ডাল, মাছ ইত্যাদির সাথে রসুন ব্যবহার করে রান্না করে থাকি।
রসুনের আচারঃ আমরা চাইলে কাঁচা রসুন খাওয়ার পরিবর্তে রসুনের আচার ও খেতে পারি । আমরা খুব সহজে বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে একটি সুস্বাদু মজাদার আনতে পারি। যা আমরা খালি মুখে কিংবা ভাতের সসাথে খেতে পারি।
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে টক দই দারুন ভাবে কাজ করে। কারণ টক দই হজম শক্তি বাড়ি তোলে এবং ক্ষুধা কমিয়ে দেই। ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রতি চাহিদা কমে যায়। টকদই আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
- খালি পেটে টক দইঃ সকালে খালি পেটে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম টক দই খেলে এটি আপনাকে ওজন কমাতে দারুন ভাবে সহায়তা করবে।
- টক দই ও মধুঃ আপনি চাইলে টক দই সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এক বাটির টক দই এর সাথে ১ থেকে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে করতে পারেন। এটি খেতে যেমন মজা ঠিক তেমনি ভাবে আপনার উপকারে আসবে।
- সালাতে টক দইঃ আমরা চাইলে সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারি। এটি যেমন আপনার সালাতের টেস্ট বাড়াবে ঠিক তেমনি আপনার উপকারেও আসবে।
ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম
ওজন কমাতে শসা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । শসাতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে । শসা বেশি পরিমাণে খাওয়া, তবে পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো। সকালে খালি পেটে শসা খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে, কেননা শসায় কোন ফ্যাট নেই। এছাড়াও শসা খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা শসা যুক্ত করে নিতে পারেন।
কেননা শসা তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে । শসা ক আমরা সালাত বানিয়ে খেতে পারি । এটা খেতে ও যেমন মজা ঠিক তেমনি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা রাতেও খাবার সাথে শসা খেতে পারি। যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। বিকেলেও আমরা নাস্তা হিসেবে শসার সাথে লবন কাঁচামরিচ মাখিয়ে খেতে পারে।
কি খেলে ওজন কমে
কি খেলে ওজন কমে এ নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। ওজন কমাতে অবশ্যই আমাদের তেল যুক্ত, চর্বিযুক্ত এইসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কি কি খেলে ওজন কমতে পারে সেইসব খাবার এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলঃ
- শাকসবজিঃ অন্যান্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আমাদের বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে। শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
- ফলঃ তেল জাতীয় খাবার কিংবা চর্বিযুক্ত খাবার না খেয়ে বেশি করে ধরনের ফল খেতে পারি । ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- চিয়া সিডঃ প্রতিদিন নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। এটা জেলির মত আকার ধারণ করে ফলে এটা খেলে ক্ষুধা কমে যায়।
লেখকের শেষ কথা
ওজন কমাতে এসব খাবার গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার মধ্যে ওজন কমাতে তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম এবং ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এই দুটি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো ভালোমতো পড়লে এবং নিয়মিত পালন করলে অবশ্যই আপনার ওজন কমতে সহায়তা করবে। শুধু ওজন কমার জন্য এই সব খাবারই যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি আপনাকে তেলযুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, এবং অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
পাশাপাশি আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে। পাশাপাশি ব্যায়াম করলে আপনার ওজন কমতে দ্রুত সাহায্য করবে। সাথে আপনার শরীর কর্মঠ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে। যা আপনাকে বাস্তব জীবনে সামনে এগোতে সাহায্য করবে। লাগলো আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url