তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় গুলো শুধু জানলে হবে না তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এটা শুধু সৌন্দর্য নষ্ট করে ঠিক এমনটা নয় পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি কর। কিন্তু আপনি চাইলে এটি কমাতে পারেন। তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় নিচে দেয়া হলঃ


পরিমাণ মতো পানি পানঃ তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পরিমাণ মতো পানি পান করলে তলপেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এটি তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হিসেবে ভালো কাজ করে।

মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন ।অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এই জন্য অবশ্যই তলপেটে চর্বি কমাতে হলে আপনাকে মিষ্টি পরিহার করতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। যা আপনার শরীরে চর্বি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর জন্য অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।

ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করুন,নিয়মিত ব্যায়াম করলে শুধু আপনার তলপেটে চর্বি নয় সাথে সাথে পুরো বডি ফিট রাখতে সহায়তা করবে।

চর্বি জাতীয় খাবারঃ চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন। অতিরিক্ত তেল কিংবা চর্বি আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর সাথে সাথে শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং চর্বি বৃদ্ধিতে দারুণভাবে কাজ করে। এইজন্য তলপেটে চর্বি কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।

ভূমিকা

বর্তমানে কমবেশি আমরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে থাকি। তার মধ্যে অন্যতম শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়া। শরীরে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় অনেক কাজ করতে পারি না। এইজন্য অবশ্যই আমাদের নিজের শরীরকে ফিট রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  ওজন কমাতে তেতুল খাওয়ার নিয়ম


শরীরে বাড়তি ওজন যেন তৈরি না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

এক সপ্তাহে পেটের মেদ কমানোর উপায়

এক সপ্তাহে পেটের মেদ কমানো কখনো সম্ভব নয়। তবে আপনার পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে আসবে কিছুটা কম। আপনি যদি নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন তবে এক সপ্তাহে পেটের মেয়ের না কমলেও খুব তাড়াতাড়ি আপনার পেটের মেদ কমে যাবে। পেটের মেদ কমানোর জন্য নিচে কিছু উপায় দেয়া হলোঃ
পেটের ব্যায়াম করুনঃ প্রতিদিন নিয়মিত পেটের ব্যায়াম করুন। এতে করে আপনার পেটের মেদ খুব সহজে কমে যাবে।

নিয়মিত দৌড়ানঃ নিয়মিত দৌড়ালে আপনার পেটের মেদ সহ পুরো বডি ঠিক রাখতে সহায়তা করবে।
খুব দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুনঃ পেটের মেদ কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া কখনোই আপনি পেটের মেদ কমাতে পারবেন না। নিয়মিত ও সঠিক সময়ে খাবার খাবেন। খাবার একসাথে না খেয়ে অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর খান। এতে করে আপনার শরীরে ওজন ও তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হিসেবে ভালো সহায়তা করবে।

মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়

মহিলাদের পেটের মেদ কমানো অনেক কষ্টসাধ্য। কেননা মহিলারা পেটের মেদ কমানোর জন্য পরিশ্রম করতে চায় না। অবশ্যই আপনাকে সঠিক খাবার এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম অবশ্যই প্রয়োজন। পেটের মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে এই মন মানসিকতা থাকতে হবে।

শুধু সঠিক খাবার খেয়ে পেটের মেদ কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করে থাকতে হবে। কেননা শুধুমাত্র সঠিক খাবার খেয়ে পেটের মেদ কমাতে চাইলে এতে দীর্ঘ সময় লাগে। এই জন্য দ্রুত পেটের মধ্যে কমাতে চাইলে সঠিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম প্রয়োজন। মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর বেশ কিছু উপায় নিচে দেওয়া হলঃ

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার ১০ টি নিয়ম


পানি পানঃ পেটের মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত পানি পান করলে এটি আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

চিনি জাতীয় খাবারঃ অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কারণ অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার আপনার পেটের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এজন্য অবশ্যই অতিরিক্ত চিহ্ন জাতীয় খাবার পরিহার করুন।

নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে খুব দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করবেন। আপনি যাই করুন না কেন পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম অবশ্যই করতে হবে। হাঁটাহাঁটি কিংবা সাইকেল চালানো কিংবা দড়ি খেলা অথবা পেটের ব্যায়াম করতে পারেন।

কোন খাবারগুলো চর্বি বাড়তে সাহায্য করে

বর্তমানে প্রায় সকলের মাঝে একটি সমস্যা দেখা দেয় সেটা হচ্ছে চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া। শরীরের অতিরিক্ত চর্বির কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কোন খাবারগুলো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে সেগুলো নিচে বর্ণ্না করা হল।


মিষ্টি জাতীয় খাবারঃ অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর বাড়তি ওজনসহ চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য আমাদের অবশ্যই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারি। মিষ্টি আমাদের অনেকের পছন্দ হলেও এটি যে আমাদের শরীরের ক্ষতির ও কারণ।

তেলে ভাজা খাবারঃ তেলে ভাজা খাবার খেলে এতে প্রচুর পরিমাণে শরীরে চর্বি বাড়ে। যেমন পাপড়, পুরি, সমুচা, ফুচকা ইত্যাদি এসব খাবার খেলে শরীরে চর্বি বাড়ে। এজন্য আমাদের অবশ্যই তেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। যাদের অতিরিক্ত চর্বি তাদের না খাওয়াই ভালো।

ফাস্টফুডঃ ফাস্টফুড খেলেন এতে আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর জন্য আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
আমাদের প্রতিদিন খাবার নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে এবং একটি ডায়েট এর রুটিন বানিয়ে তা প্রতিদিন ফলো করতে হবে। এছাড়াও তেল যুক্ত খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদি এই জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।

শরীরের মেদ বৃদ্ধি করবে এই জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। কেননা এই জাতীয় খাবার আপনার পেটের মেদ বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। বেশি বেশি শাক সবজি খেতে হবে এবং তেলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

আপনি যে কোন কাজ নিয়মের বাইরে করলে আপনার পেটের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন। অ্যালকোহল জাতীয় খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। যে কোন খাবার আস্তে আস্তে খেতে হবে যাতে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। আপনি এইসব অভ্যাসগুলো করলে ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানো সম্ভব।

লেখকের শেষ কথঃ তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হিসেবে আপনাকে খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্যায়াম করা অবশ্যই প্রয়োজন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করবে। যদি সম্ভব হয় পাশাপাশি পেটের ব্যায়াম ও করবেন। ব্যায়াম করলে শুধু তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

বর্তমানে আমরা ওজন কমানোর জন্য অনেকে অনেক রকম টিপস অবলম্বন করে থাকে। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের ওজন ও পেটের মেদ কমা ঠিক হবে। প্রতিদিন কম পক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ব্যাম করা প্রয়োজন। এতে করে শরীর ও মন দুই তাই ভালো থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url