গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অবশ্যই রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মা এবং সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টির প্রয়োজন রয়েছে। এই সময়ে খেজুর খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
কারণ খেজুরে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি যা মায়ের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও খেজুরের অনেক গুণাবলী রয়েছে যা প্রতিদিন খেলে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিনের অনেকটাই চাহিদা পূরণ করবে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে পুষ্টির ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ যা আমাদের প্রতিদিন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।
নিচে কয়েকটি গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলঃ
- গর্ভাবস্থায় মহিলাদের দৈনন্দিন জীবনে শক্তির বাড়ে।
- নিয়মিত প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টি খেজুর খেলে শরীরের শক্তি আসে এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়।
- গর্ভাবস্থায় অনেক নারী কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুবেন। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পেটে প্রাকৃতিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
- এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আয়রনের প্রয়োজন বারে যা খেজুর খেলে এর ঘাটতি পূরণ করে দেয়। কেননা খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
- খেজুরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি ভিটামিন রয়েছে যা মা এবং শিশুর হাড়ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে।
- খেজুরে ভিটামিন বি এবং অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা খেজুর খেলে কি হয়
নারীর শরীরে পুষ্টির চাহিদা বেশি থাকে ফলে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এই সময় শরীরে শক্তির প্রয়োজন বেশি হয়। ফলে এই সময় পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা বেশি। পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় কাঁচা খেজুর যুক্ত করতে পারেন। এতে করে গর্ভাবস্থায় কাঁচা খেজুর খেলে ভিটামিনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনির ও যোগান দিয়ে থাকে।
তবে গর্ভাবস্থায় কাঁচা খেজুর পরিমাণ মতো খেলে এটা উপকারী। বেশি খেলে এটার আবার উল্টো প্রভাব ফেলবে। যেমন অতিরিক্ত কাঁচা খেজুর খেলে পেটে গ্যাস, ফোলা ভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই কাঁচা খেজুর পরিমাণ মত খাওয়াই ভালো।
গর্ভাবস্থায় খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে পাশাপাশি যদি খেজুরের রস খেতে পারেন তবে অনেক উপকার রয়েছে। তবে খেয়াল রাখবেন খেজুর রস কোনভাবে ঠান্ডা খাওয়া যাবে না। বর্তমানে খেজুরের র রসে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুসহ ভাইরাস দেখা দেয়। তাই খেজুরের রস না খাওয়াই উত্তম। তবে একান্তই যদি খেতে চান ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারে।
এতে প্রাকৃতিক এতে প্রাকৃতিক চিনি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার, এবং বিভিন্ন ভিটামিন রয়েছে, যা শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং নানা উপকারে আসে। সঠিক পরিমাণে খেলে খেজুরের রস মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং গর্ভাবস্থার সময় উপকারী ফল দিতে পারে।
গর্ভবতী মা কি খেজুর খেতে পারবে?
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত জরুরী। এই খাবারের তালিকায় খেজুর যুক্ত করতে পারেন। কেননা খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। খেজুরে আছে ভিটামিন ও মিনারেল যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং গর্ভাবস্থায় শরীরে শক্তি যোগান দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর খেলে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় কিছুটা সহায়তা করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি খেজুর একজন গর্ভবতী মা খেতে পারে। তবে বেশি খেলে এর উল্টো ক্ষতি হতে পারে।
তাই প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণ মতোই খেজুর খাওয়া উচিত। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তবে খেজুর খাবার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে খাওয়া উচিত। কেননা খেজুরের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। ফলে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিদিন খেজুর খেলে কি হয় জেনে নিন?
খেজুর অনেক পুষ্টি করে কি ফল যা দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় স্থান দখল করে আছে। কেননা খেজুর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, প্রাকৃতিক চিনি ইত্যাদি।
প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনঃ
খেজুরের পুষ্টি ও ভিটামিনঃ খেজুরের রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ক্লান্তি ভাব দূর করে।
হজম প্রক্রিয়াঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা প্রাকৃতিক ভাবে খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরিমাণঃ প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। নিয়মিত প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খেলে শরীরের শক্তি বাড়িয়ে তুলে এবং ক্লান্তি ভাব দূর করে এছাড়াও অনেক উপকারে আসে।
লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় একজন মা এবং শিশুর দুই জনের জন্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার ঢাকা অত্যন্ত জরুরি। খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। তাই গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের খাদ্য তালিকায় খেজুর যুক্ত করা যায়। এছাড়াও খেজুর একটি সুন্নতি ফল।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর পছন্দ করতেন। শুধু গর্ভবতী মায়ের জন্যই খেজুর নয় আমাদের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর যুক্ত করা এবং প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া। এতে করে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করবে। শরীরের শক্তি যোগাবে, হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করবে ইত্যাদি
আমাদের ওয়য়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনার করা প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url